
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় মসজিদের খতিবকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঘটনার সময় ফজরের নামাজের সেজদায় ছিলেন খতিব—ঠিক তখনই পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়।
আহত খতিব সোলাইমান আখনকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে জমিসংক্রান্ত পুরনো বিরোধের সূত্র পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি আদালতে দায় স্বীকার করে বলেন—তিনি পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই এই হামলা চালিয়েছেন।
ঘটনার পর স্থানীয় মুসল্লিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত বিচার দাবি করেন।
তারা বলেন—মসজিদে এমন হামলা শুধু একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, বরং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নিরাপত্তার ওপর আঘাত।
পুলিশ জানিয়েছে, জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হবে।
অপরদিকে, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন—আহতের শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে এবং তার অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এখন সবার প্রত্যাশা—এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হবে এবং ভবিষ্যতে ধর্মীয় স্থানগুলো নিরাপদ থাকবে।